১৮ বছর আগে শাহ গ্রুপ আত্মপ্রকাশ করেছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে। লক্ষ্যটি ছিল ‘ একের ভেতর অনেক’ হয়ে উঠবার।
ভারত থেকে শুরু করবার প্রধান কারণটি ছিল মানবতার ফেরিওয়ালা শাহ জে. চৌধুরীর জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ভারতে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল হাশেম এবং রত্নগর্ভা মা নূর জাহানের সন্তান শাহ জে. চৌধুরীর বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৮ বছর আগে বলতে গেলে অনেকটা একক প্রচেষ্টায়। কয়েক বছর আগে উন্নত জীবনের হাতছানিতে পরিবার নিয়ে পাড়ি জমান স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। সাথে নিয়ে আসেন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং চিন্তা- চেতনা ও মননের খোরাক। যার মধ্যে অন্যতম মানব কল্যাণ। শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহ জে. চৌধুরী আমেরিকায় চলে আসার পর এই প্রুপের পরিধি বাড়ান। শাহ গ্রুপকে রূপ দেন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে। এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এখন এশিয়া এবং আমেরিকায়। এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান হাঁটি হাঁটি পা করে ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৮ বছর পূর্তিতে নিউ ইয়র্কের উডসাইডের গুলশান টেরেসে আয়োজন করা হয় ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানে মূলধারা এবং কম্যুনিটির সর্বস্তরের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শাহ গ্রুপের উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শাহ জে. চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠাতা হোসনে আরা চৌধুরী, ফৌজিয়া জে চৌধুরী, উপদেষ্টা এ কে এম ফজলুর রহমান, মইনুল ইসলামের সঙ্গে। অতিথি ছিলেন অ্যাসেম্বলিওম্যান জেনিফার রাজকুমার, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনাবান রিচার্ডের প্রতিনিধি ও ডেপুটি এবনি ইয়াং, অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাটেলিনা ক্রুজের প্রতিনিধি সাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, ব্যবসায়ী ফয়সাল আজিজ, নার্গিস আহমেদ, বিজয়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী একুশে পদক প্রাপ্ত শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায়, শিল্পী শহীদ হাসান, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এবং জ্যামাইকার ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এ থেকে ডিস্ট্রিক্ট লিডার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শাহ নেওয়াজ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সিলেট মোটরসের স্বত্বাধিকারী মুন্না, তানিয়া, রাশেক মালিক, সীমরান, রানো আক্তার, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা জে মোল্লা সানি, বাংলাদেশ সোসাইটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আহসান হাবিব, আতাউর চৌধুরী, রবিউল হাসান প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, জেবিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বিশ্বাস, ব্যবসায়ী লিটু চৌধুরী, জেবিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলম নমি, এ এফ মিসবাউজ্জামান, রুম্মন রেজাউল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হীরু ভুইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রচি, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মঈনুজ্জামান চৌধুরী, হৃদয়ে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, রাজনীতিবিদ গিয়াস উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সমিতির সাধারণ মোস্তফা জামান টিটো, কবি ইশতিয়াক রূপু, মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুর রশিদ বাবু, রাজনীতিবিদ মাকসুদুল হক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, মোহাম্মদ শফি মিয়া, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট সোহেল গাজী, রহিম মিয়া, সাদিয়া, সালমান, ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, কবি ফকির ইলিয়াস, কবি ফারহানা ইলিয়াস তুলি, শিল্পী শাহ মাহবুব, শিল্পী রানো নেওয়াজ, শিল্পী কামরুজ্জামান বকুল, শিল্পী মোস্তফা অনিক রাজ, পলাশ নোমান, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, ইফজাল চৌধুরী, জামাল হোসেন, জেবিবিএ’র সহ সভাপতি হাসান জিলানী, সহ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট নূরুল আমিন বাবু, শিবলী সাদিক প্রমুখ। এছাড়া আন্তরিক উপস্থিতিতে ছিলেন বাংলাভিশন টেলিভিশনের স্পেশাল করেসপনডেন্ট নিহার সিদ্দিকী। শিল্পী রথীন্দ্রনাথ বলেন, আমি শাহ জে. চৌধুরীকে দীর্ঘদিন ধরেই চিনি। তার মানব কল্যানমূলক কাজ আমি নিজ চোখে দেখেছি। বর্তমান সময়ে তার মতো মানব দরদী মানুষ হয় না। তার এই কর্মকাণ্ডের সাথে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। এবনি ইয়ং বলেন, ১৮ বছর মানব কল্যাণে কাজ করা বিশাল একটি কাজ। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের পক্ষেও অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি শাহ জে. চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান এবং শাহ জে. চৌধুরীর কাজের জন্য তাকে কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টের পক্ষে সাইটেশন প্রদান করেন। অ্যাসেম্বলী ওম্যান জেনিফার রাজ কুমার শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ধন্যবাদ জানান এবং তার পক্ষ থেকে সকল কাজের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমি জানি এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম ভারতে। বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করেছে। তিনি তার পক্ষ থেকে শাহ গ্রুপকে সাইটেশন প্রদান করেন। এম আজিজ বলেন, কম্যুনিটিতে বহু বিত্তবান আছেন, তারা ইচ্ছে করলে দেশের গরীব এবং অসহায় মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু তাদের সেই ইচ্ছে নেই। ইচ্ছা রয়েছে শাহ জে. চৌধুরীর। যে কারণে তিনি নীবরে নিবৃত্তে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ফজলুল হক সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আপনারা যারা আমাদের এই কাজের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ক্যাটেলিনা ক্রুজের প্রতিনিধি সাহেদ চৌধুরী বলেন, শাহ গ্রুপের সাথে আমরা মানুষের সহযোগিতায় অনেক কাজ করেছি। আগামীতেও আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি অ্যাসেম্বলীওম্যান ক্যাটেলিনার পক্ষ থেকে শাহ গ্রুপকে সাইটেশন প্রদান করেন। মইনুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় ভাল কাজের সাথে থাকতে চাই। যে কারণে শাহ গ্রুপের সাথে আমার সম্পৃক্ততা। তিনি ভাল কাজে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে আহবান জানান। ফৌজিয়া জে চৌধুরী অনুষ্ঠান সফল এবং তাদের কাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। শাহ জে. চৌধুরী অনুষ্ঠানকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংবাদিক দর্পন কবীর উপস্থিত সাংবাদিকসহ কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেন। শো টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলমগীরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী টিনা রাসেল এবং প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী চন্দন চৌধুরী। আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন অপু।