ঢাকা বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩১, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

বিকল্প সড়ক না করেই চলছে সেতুর কাজ, ভোগান্তি


নিউজ ডেস্ক
৮:৩৪ - শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৪
বিকল্প সড়ক না করেই চলছে সেতুর কাজ, ভোগান্তি

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বিকল্প সড়ক তৈরি না করেই একটি সেতুর নির্মাণ করা হচ্ছে। যদিও সেতু নির্মাণ করার শুরুতেই গাড়ি চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণের কথা ছিল। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই পারে যাতায়াতকারী কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষ।

গতকাল শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই উপজেলার ভাবকী-রায়গঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ছয় মাস ধরে সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে পড়েছিল। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছিল। পরে ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু না ভেঙ্গেই তার ওপর বেইলি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা না করায় এ পথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা আদারভিটা ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, জামালপুর শহরে গিয়েছিলাম শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি হয়ে। এই সড়ক বন্ধের বিষয়টি জানতাম না। ভাবকী থেকে বাগবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্ব, এখানে এসে দেখি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে, তাই রাস্তা বন্ধ। এখন প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে বেলতৈল যেতে হবে। যদিও এ সেতু হয়ে বেলতৈল মাত্র ৩ কিলোমিটার।

মেলান্দহ উপজেলা চর সগুন এলাকার মনিরুজ্জামান নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা ঠিক হয়নি। রাস্তা বন্ধ দেখে কোনো উপায় না পেয়ে পরে ধান ক্ষেতের ভেতর দিয়ে পাঁচজনে মিলে মোটরসাইকেল পাড় করলাম।

অটোরিকশা চালক সোলাইমান বলেন, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, সেতুটি হেঁটে পার হতে হলেও অনেক সাবধানে চলতে হচ্ছে। এ সেতু নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভোগান্তি কমবে না। লোকজন দূরদূরান্ত দিয়ে ঘুরে ঘুরে আসে।

বেইলি সেতু নির্মাণ শ্রমিক মো. বাতাশু বলেন, বেইলি সেতু ২১ মিটার দৈর্ঘ্যের নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই একদিনের দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

ঘোষারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, এটি কোনো ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে না জনস্বার্থে কাজটি করানো হচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাই কোনো বিকল্প সড়ক করা হয়নি। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) শুভাশিষ রায় বলেন, বিকল্প সড়ক না থাকার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। 

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। এখানে কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।